ব্যাটারি কি
![]() |
| sandhansp.blogspot.com |
লেড এসিড ব্যাটারি কি?
বেসিক
লেড এসিড ব্যাটারি তৈরি হয় প্লেট, সীসা এবং লেড অক্সাইড [আরো কিছু উপাদান থাকে ঘনত্ব, শক্ত ইত্যাদির জন্য] এর সাথে ৩৫% সালফিউরিক এসিড ও ৬৫% পানির মিশ্রন থেকে। এসিড পানির এই মিশ্রনটিকে বলে ইলেকট্রোলাইট যা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ইলেকট্রন তৈরি করে। ব্যাটারি টেস্টের জন্য হাইড্রোমিটার দিয়ে ইলেকট্রোলাইটে সালফিউরিক এসিডের পরিমাণ মাপা হয়।
ধরন
মূলত দুই ধরনের ব্যাটারি দেখা যায়,
ডিপ সাইকেল:যা অনেকবার চার্জ ডিসচার্জে সক্ষম, এই ধরনের ব্যাটারিকে মেরিন টাইপ ব্যাটারি ও বলা হয়, এগুলো সাধারণত এভাবে স্পেসিফিকেশন লেখা হয় যেমন
12V7AH ব্যাটারি অর্থাৎ এটি ১২ ভোল্ট এর এবং ঘন্টায় ৭ এমপিয়ার কারেন্ট দিতে সক্ষম বা ৭ এমপিয়ারে ১ ঘণ্টা চলতে সক্ষম। এগুলোতে থাকে মোটা প্লেট যা চার্জ দীর্ঘক্ষন ধরে রাখে ও ধীরে ধীরে ডিসচার্জ করতে সক্ষম।
ব্যাটারি বা ক্র্যাংকিং ব্যাটারি:এ গুলো মূলত গাড়ির ব্যাটারি। গাড়ি বা ইঞ্জিন স্টার্ট করতে বেশ শক্তিশালি একটি স্টার্টিং মোটর [যাকে সেলফ বলা হয়] থাকে এটিকে ১৫-৩০ সেকেন্ড চালু রাখলেই ইঞ্জিন স্টার্ট নিয়ে নেয়, অর্থাৎ খুব অল্প সময়ের জন্য ২৫-১৫০ এমপিয়ার কারেন্ট প্রবাহের প্রয়েজন হয় ঐ সেলফ চালাতে এর পরে আর ব্যাটারির তেমন শক্তির কোন কাজ করতে হয় না বরং ইঞ্জিন এর অলটারনেটর হতে ব্যাটারি পুনরায় চার্জ হতে থাকে। এগুলোতে থাকে পাতলা প্লেট যা অনেক বেশি কারেন্ট বা এমপিয়ার তৈরি করতে পারে।
লেড অ্যাসিড ব্যাটারি ২ ধরনের: ডিপ সাইকেল ও গাড়ির ব্যাটারি। গাড়ির ব্যাটারিতে প্লেটগুলি পাতলা থাকে যাতে পৃষ্ঠ তড়িৎপ্রবাহ বেশি হয়। অন্যদিকে ডিপ সাইকেল ব্যাটারিতে দীর্ঘক্ষণ তড়িৎ সরবরাহ করার জন্য মোটা প্লেট ব্যবহার করা হয়।
আইপিএস-এ ডিপ সাইকেল ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। এই ব্যাটারি পুনঃআধানীকরণযোগ্য (রিচার্জেবল) ব্যাটারি; এটি অসংখ্যবার চার্জ ও ডিসচার্জ হয়।
অন্যদিকে গাড়ির ব্যাটারি অল্প সময়ের জন্য (৩০ সেকেন্ড) উচ্চ অ্যাম্পিয়ার (৩০-১০০ অ্যামপিয়ার)
মানবিশিষ্ট
তড়িৎ সরবরাহ করে গাড়ির ইঞ্জিন স্টার্ট করে দেয়; এর পর গাড়ির অলটারনেটর গাড়ির বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। একই সঙ্গে গাড়ির ব্যাটারিকেও চার্জ করতে থাকে পুনরায় হাই এমপ এ ইঞ্জিন স্টার্ট করার জন্য এর ফলে গাড়ির ব্যাটারি তার শক্তির ২০% খরচ করে একাধিক বছর সার্ভিস দিতে পারে।
1. CCA
2. CA
3. AH
4. RC (রিজাফ ক্যাপাসিটি) একটা ব্যাটারির মধ্য কত পরিমান কারেন্ট আছে বোঝানো হয় এবং মিনিটে হিসাব করা হয়। আর সি পরিমাপের পদ্ধতি হলো, কোন একটা ফুল চার্জ ব্যাটারি হতে কনস্ট্যান্ট 25 এ এইচ মাত্রায় ডিসচার্জ করে টারমিনাল ভোল্ট 10.5 পর্যন্ত যত মিনিট কারেন্ট সাপ্লাই দিতে সক্ষম তখন সেই ব্যাটারির আরসি তত হবে।
চার্জিং এর জন্য ব্যাটারিতে বিদ্যুৎ প্রবাহের প্রয়োজন।

nice
ReplyDelete